Jakariya1234 Subscriber 2 years ago |
বেশ কিছুদিন পূর্বে প্রথম খলীফা হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা.) দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। তাঁর ইন্তেকালের পর হযরত ওমর (রা.) এখন মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় খলীফা। লোকেরা খলীফাকে আমীরুল মুমেনীন বলে ডাকে। বিভিন্ন অভাব অভিযোগ পেশ করে নিজেদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করে নেয়। আর অন্যায়কারী ও জালিমরা ভোগ করে কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি।
হযরত ওমর (রা.) এর চমৎকার একটা অভ্যাস ছিল। সময় পেলেই তিনি শহরের অলি গলিতে ঘুরে বেড়াতেন। কখনও বা চলে যেতেন শহরের বাইরে, একেবারে পল্লী এলাকায়। সেখানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতেন, তাদের খোঁজ খবর নিতেন। যারা অভাব অনটনে আছে তাদের অভাব দূর করতেন । যারা রুগ্ন-অসুস্থ তাদের সেবা যত্ন করতেন। কোথাও অন্যায় অবিচার দেখলে তার প্রতিকার করতেন ।
একদিন হযরত ওমর (রা.) চলতে চলতে শহরের বাইরে বহুদূর চলে গেছেন । সাথে কোন সফরসঙ্গী ছিল না। অনেক পথ চলার কারণে এক সময় তার প্রচন্ড ক্ষুধা লাগল। ধুধু মরু প্রান্তরে কোথাও কোন লোকালয় চোখে পড়ছে না। ক্ষুধার যন্ত্রণায় তিনি অস্থির। মুখে দেওয়ার মত দু’মুটো খাবারও কাছে নেই । এবার তাহলে উপায়?
রাখাল ছেলের সততার গল্প
হযরত ওমর (রা.) ক্ষুধা পিপাসায় কাতর হয়েও সামনে চলতে লাগলেন। বেশ কিছু পথ অগ্রসর হওয়ার পর একটি বকরির পাল নজরে পড়ল। মনে মনে ভাবলেন, বকরির মালিক থেকে কিছু দুধ নিয়ে ক্ষুধার যন্ত্রণা নিবৃত করবেন। তাই সেখানে গিয়ে বললেন, ভাই! আমি একজন মুসাফির। সাথে কোন খাবার নেই । আমার বেশ ক্ষুধা পেয়েছে। যদি তুমি অনুগ্রহ করে কিছু পয়সার বিনিময়ে আমাকে সামান্য দুধ দাও তবে বড়ই উপকৃত হব ।
উত্তরে লোকটি বলল, হে সম্মানিত অতিথি! আমি অবশ্যই আপনার আবেদন পূর্ণ করতাম, দুধ পান করিয়ে আপনার ক্ষুধার যন্ত্রণা দূর করতাম । কিন্তু দুঃখ লাগছে এজন্য যে, ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আমি তা পারছি না । কারণ এসব বকরির মালিক আমি নই, রাখাল মাত্র । সুতরাং আপনিই বলুন, মালিকের অনুমতি ব্যতীত দুগ্ধ দোহন করে কিভাবে আপনাকে তা পান করাব?
রাখালের সততায় একটা খুশি দোলা দিয়ে যায় খলীফার অন্তরে। ঠোঁটের কোণে ফুটে উঠে একটা মৃদু ক্ষীণ হাসির রেখা। অভূতপূর্ব আনন্দে হৃদয় মন নেচে উঠে তার । সেই সাথে ভুলে যান ক্ষুদ পিপাসার যন্ত্রণার কথাও।
হযরত ওমর (রা.) কিছুক্ষণ নির্বাক দৃষ্টিতে রাখালের দিকে তাকিয়ে থাকেন । তারপর তাকে আরেকটু পরীক্ষা করার জন্য বলেন, যদি আমার কথা মত কাজ কর, তবে তোমাকে দারুণ একটি প্রস্তাব শুনাব। বুঝতেই পারছ, প্রস্তাবটি নিশ্চয় লাভজনক হবে।
রাখাল বলল, বলুন আপনার কি প্রস্তাব । খলীফা বললেন, তুমি একটি বকরি আমার নিকট বিক্রি কর। বকরির মূল্য এখনই তোমাকে দিয়ে দেব। এতে বকরি দোহন করে আমি যেমন দুধ পান করতে পারব তেমনি প্রয়োজন হলে তা জবাই করেও খেতে পারব। পরে মালিক তোমাকে
Alert message goes here